হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা (কালী) ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় শ্রীশ্রী শ্মশান কালী মাতা মন্দিরে এবার সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত হবে। কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।   

হিন্দু পূরাণ মতে কালী দেবী দূর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালি নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মহাত্ম। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়া সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।

 

হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা (কালী) সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত হবে। কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

 

কালী পূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে, মন্দিরে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলী।

 

ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মন্দির কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন সিং জানান লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে শ্মশানে শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

 

প্রতিবারের ন্যায় এবারও সোমবার নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মাতা মন্দিরে, কালী পূজার আয়োজন করেছি।

 

মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক সুমন কুমার ঘোষ সকলকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন

শারদীয়া শেষে ফিরে গেছেন উমা উৎসবে মেতেছে শহর ঘরে এসেছে শ্যামা, তাই আমরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শ্মশান কালী মায়ের পূজার সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।

 

এবার রাত ১২ টা এক মিনিটে মায়ের পূজা শুরু, ভক্তদের নিয়ে পুষ্পাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হবে রাত ২ টায়, বলিদান অনুষ্ঠিত হবে ২টা ৩০ মিনিটে।এরপর সকালে ভক্তদের মাঝে প্রসার বিতরণ করা হবে।

এদিকে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, জানান কালী পূজা উপলক্ষে জেলা পুলিশের সকল ইউনিটে যারা রয়েছে আমরা জানিয়েছি পূজাটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে যেগুলো জায়গায় আমাদের ফোর্স মোতায়েন করার প্রয়োজন, সেগুলো জায়গায় মোতায়ন করা হবে।